Foodbag Progrsm for Sunamganj Flood Affected People (2022)

Facebook Post: আলহামদুলিল্লাহ ফান্ড রেইজ চলছে পুরোদমে। তৌফিক রহমান তুহিনের ১,০০,০০০ (একলক্ষ) আর জিহাদের ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা আমাদের অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে। কালও ফান্ড রেইজ চলবে। সকলের প্রতি বিশেষ অনুরোধ সামর্থ্য অনুযায়ী আসুন আমরা সুনামগঞ্জের বানভাসী মানুষের পাশে দাড়াই।

সুনামগঞ্জের মোটামুটি তিনটি জায়গায় ত্রান কার্যক্রম চালানোর প্রস্তুতি চলছে। (১) দুয়ারা বাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার, (২) রঙারচর ইউনিয়ন (৩) বিসস্মভবপুর উপজেলার বাধেরটেক, মনিপুর হাট এবং চালবন। আমরা ইনশাআল্লাহ শনিবারে যাত্রা করছি। আশা করছি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন আমাদের সাথে থাকবে। সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

Facebook Post: আমাদের ত্রান কমিটির কাজ শুরু করেছি মাত্র দুই দিন। এর মধ্যেই ব্যপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। দুই একটা নমুনা দেই, গতকাল রাতেই ওরাকলের এমডি রুবাবা দৌলা আপা ৩০,০০০ টাকা পাঠিয়েছেন বিকাশে, গ্রামীণ ফোনের জিএম আমাদের তামজিদ ভাই ব্যাংকে ট্রান্সফার করলেন ৩০,০০০ টাকা, ফ্রেস গ্রুপের জিএম ইয়ারুল ভাই গতকাল রাতেই বিকাশে ২০,০০০ টাকা পাঠিয়েছেন। ত্রাণের ফান্ড রেইজের সাথে সাথে আরও একটি কাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ তা হোল বর্তমান পরিস্থিতির একটি সমগ্রিক চিত্র সামনে থাকা দরকার যাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমরা সহায়তা পৌছাতে পারি। সেই লক্ষ্যেই আজ কথা বললাম বিজিবির সুনামগঞ্জের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল মাহাবুব ভাইয়ের সাথে। মাহাবুব ভাইকে পাওয়া গেল আমাদের সুহৃদ কর্নেল খালেদ ভাইয়ের সৌজন্যে, তিনি সুনামগঞ্জে প্রান্তিক পর্যায়ে আমাদের সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা করবেন। স্বল্প মেয়াদি এবং একটু দীর্ঘ মেয়াদি সহায়তার জন্য আমরা চাই বাস্তব পরিস্থিতি সকলের সামনে আসুক। তাই মাছরাঙা টিভির রেজোয়ান ভাই আমাদের সাথে দুজন সাংবাদিক পাঠাচ্ছেন। যারা একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের পরিস্থিতি সবার কাছে তুলে ধরতে পারবেন। আরও একটি বিশাল খবর আছে। বগুড়া আরডিএ’র প্রাক্তন ডিজি, জাহাজের মালিক মতিন ভাই আমাদের টীমের একজন হিসাবে সাথেই থাকবেন। ইনশা আল্লাহ আমরা রওয়ানা দেব ২৫শে জুন তারিখে একেবারে ভোরবেলা। বাকী বিত্তান্ত সামনে আসছে। আপাতত ত্রান ভান্ডারে টাকা-পয়শা সংগ্রহ চলুক। আসুন সকলে সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তার হাত বাড়াই।

Facebook Post: প্রোফেসর মোস্তফা আকবরের ২৫,০০০ টাকা আমাদের ত্রান কমিটির জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা তৈরি করেছে। আজ সারাদিন আরও অনেকে আমাদের টাকা পাঠিয়েছেন। আগামী বৃহস্পতিবার আমাদের টীম ভৈরব থেকে সুনামগঞ্জের হাওড় অঞ্চলের দিকে যাত্রা শুরু করবে ইনশাআল্লাহ্‌। আমরা আশা করছি প্রথমবার ৫/৬ লাখ টাকার রান্না করা খাবার পৌঁছে দিতে পারবো বানভাসি মানুষের মাঝে।

সুনামগঞ্জ জেলায় বানবাসি মানুষের মধ্যে দুর্দশা গ্রস্থ সময়ে প্রতিটি বিবেকবান মানুষই ব্যাথিত। মানুষের বিপদের সময় মানবিক সাহায্যে এগিয়ে আসাই মানবিক ধর্ম।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে তৈরি খাবার বিতরণের জন্য মিরপুর ক্লাবের একটি টিম নৌ পথে সুনামগঞ্জে যাচ্ছে। অনেক বাক্তি বা প্রতিষ্ঠান আছে ।যারা ত্রান কাজে অংশ গ্রহণ করার আখাঙ্কা থাকলেও যোগাযোগ বিছিন্নতার কারণে ত্রানের কাজে নিয়োজিত হতে সক্ষম হচ্ছে না। মিরপুর ক্লাবের এ মহৎ উদ্যোগের মানে কোন প্রতিষ্ঠান /সংঘটন/বাক্তি আর্থিক সয়াহতা দিয়ে শামিল হতে চাইলে তাদেরকে সাদুবাদ জানাই।

আসুন সবাই মিলে এ বিপদে একজন মানুষ হিসেবে মানুসের পাশে দাঁড়িয়ে কিঞ্চিত ঋণ শোধ করি।

২৫শে জুন ২০২২ তারিখে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে ২৬শে জুন ২০২২ তারিখ সকালে আমরা পৌঁছেছি সিলেটে। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য সুনামগঞ্জ বন্যা পীড়িত অঞ্চল।

সুনামগঞ্জের মোটামুটি দুটি জায়গায় ত্রান কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়েছে। (১) দুয়ারা বাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার, (২) বিসস্মভবপুর উপজেলার বাধেরটেক, মনিপুর হাট এবং চালবন।

মোটামুটি ২৬জন স্বেচ্ছাসেবকের সম্পূর্ণ ১ দিনের পরিশ্রমে ফুডব্যাগ প্রস্তুত সম্ভব হয়েছে।